উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে উধাও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমায়োসিসে আক্রান্ত এক মহিলা রোগী। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাসপাতাল চত্বরে৷ পাশাপাশি ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর আগেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর পালিয়ে যাওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও কেন হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সুটিথানার বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া সম্প্রতি করোনায় সংক্রমিত হন। তারপরে সুস্থও হয়ে ওঠেন। এরপর আচমকা তার শারিরীক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তাকে মুর্শিদাবাদ থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। কারন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমায়োসিস চিকিৎসার উত্তরবঙ্গের রিজিওনাল হাব হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর৷ যে কারণে বুধবার মুর্শিদাবাদ থেকে তাকে সড়কপথে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে তাকে ইএনটি সার্জিক্যাল বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর নিশ্চিত হতে তার টিস্যু ও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতালের ভাইরাল রিসার্চ এন্ড ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তার কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও ব্ল্যাক ফাংগাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই তার যাবতীয় চিকিৎসার পদক্ষেপ শুরু করা হয়। কিন্তু রাতে আচমকা ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্সরা দেখেন ওয়ার্ড থেকে ওই মহিলা উধাও। এরপরই গোটা হাসপাতালে শোরগোল পরে যায়। হাসপাতাল চত্ত্বরে শুরু হয় খোঁজাখুজি। কিন্তু এদিন রাত পর্যন্ত রোগী মেলেনি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে মেডিক্যাল ফাঁড়িতে নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, “মহিলার এদিনই ব্ল্যাক ফাংগাসের রিপোর্ট আসে। কিন্তু রাতের বেলায় ওয়ার্ডে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।