হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা প্রার্থণা কোলে বছর দেড়েক আগে বিষ্ণুপুর শহরের একটি বেসরকারী ইংরাজী মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতার চাকরী নিয়ে বিষ্ণুপুরে আসেন। তারপর থেকেই তিনি ছিন্নমস্তার দলমাদল রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ঘটনাচক্রে গত তিন মাস আগে শাঁখারিবাজারের বাসিন্দা ঐ স্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর গৃহশিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন। ঐ ছাত্রীর মা পাপিয়া পাল বলেন, প্রার্থণা কোলে নামে ঐ শিক্ষিকা দুপুরে মেয়েকে পড়াতে আসতেন। প্রায় দিনই পোশাক পাল্টানো সহ নানান অছিলায় মেয়েকে বাড়ির বাইরে বের করে দরজা বন্ধ করে দিতেন। প্রথম দিকে বিষয়টি সেভাবে নজরে না এলেও পরে সন্দেহ হয় তাদের। তারা খেয়াল করে দেখেন ঐ ঘরে আলমারির ভেতরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা,তার নোয়া ও ছেলের গলার চেন খোয়া গেছে বলে তিনি দাবি করেন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত তাঁর স্বামী বাড়ি এলে বিষ্ণুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার ঐ শিক্ষিকাকে হাতে নাতে ধরে এবং থানায় খবর দেয় তারা। এরপর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ প্রার্থণা কোলে নামে ঐ গৃহশিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকা প্রার্থণা কোলেকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

নবেন্দু হাটি – বাঁকুড়া