
গড়িয়াহাট খুনের কিনারা করল পুলিশ
ডায়মন্ড হারবার : বিশ্বজিৎ দে
গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে নিজের বাড়িতেই খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল। কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুন কাণ্ডে ডায়মন্ড হারবার থেকে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালবাজারে নিয়ে গেলেন হোমিসাইড শাখা পুলিশ। ধৃতদের নাম মিঠু হালদার এবং সুভাষ হালদার৷ ধৃত মহিলা কাঁকুলিয়ার ওই বাড়িতে অতীতে পরিচারিকার কাজ করত বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ তাঁর স্বামীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এ দিন ডায়মন্ড হারবারের কপাটহাট এলাকা থেকে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডায়মন্ড হারবার থানাতে নিয়ে আসেন গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা। আপাতত তাদের ডায়মন্ড হারবার থানাতেই বেশ কয়েক ঘন্টা জেরা করা হচ্ছে৷ যদিও কাকুলিয়ার জোড়া খুন কাণ্ডে এই তিন জন কীভাবে যুক্ত, সে বিষয়ে এখনও বিশদে কিছু জানায়নি। সম্প্রতি গত রবিবার গড়িয়াহাটের কাকুলিয়া রোডে নিজের বাড়িতেই খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল৷ ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। প্রথম থেকেই পুলিশের অনুমান ছিল,খুনের পিছনে পরিচিত কেউ জড়িত।
কাঁকুলিয়ায় জোড়া খুনের তদন্তে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে যান। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালিগঞ্জ স্টেশনে চলে গিয়েছিল পুলিশ কুকুর৷ তার থেকেই গোয়েন্দাদের অনুমান হয়, সম্ভবত ট্রেনে করেই ফিরে গিয়েছে খুনিরা৷ সেই সূত্রেই এ দিন ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছয় গড়িয়াহাট থানার পুলিশ এবং তদন্তকারীরা৷ সেখান থেকেই মিঠু হালদার এবং সুভাষ হালদারকে আটকে করে প্রথমে জেরা করে পুলিশ৷ তার পরে তাদেরকে ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে লালবাজার এর উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় পুলিশ। লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গড়িয়াহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে এমন টাই সূত্রের খবর।
ধৃতদের সঙ্গে এই খুনের কী যোগ, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতেই থাকতেন সুবীরবাবুর পরিবার৷ সেই সময় ওই বাড়িতেই পরিচারিকার কাজ করত ধৃত মিঠু হালদার৷
