অশোকনগর থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় গুমা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজন দাসের, যার ফলে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং অস্ত্র আইনের অধীনে রুজু হয় মামলা। একমাসের মধ্যেই, ২১ মার্চ, বসিরহাট থানার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা গোজাডাঙা থেকে গ্রেফতার হয় মামলায় মূল অভিযুক্ত গৌতম দাস।
তদন্তে নেমে ৯০ দিনের সময়সীমার আগেই ২২ মে সুদৃঢ় চার্জশিট দাখিল করেন সাব-ইনসপেক্টর রাজু দাস, শুরু হয় বিচারপর্ব। তত্ত্বাবধানে থাকেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শ্রী বিভাস চ্যাটার্জি। এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে চলা বিচারপর্ব শেষে মামলার রায় বেরিয়েছে সম্প্রতি। গৌতম দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন বারাসতের মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক, সপ্তম আদালত। পাশাপাশি, অস্ত্র আইন অনুযায়ী আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রতিটি অপরাধ পিছু ২৫ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
